ইসলামে বিনোদনের হুকুম:
১ম পর্ব
অপসংস্কৃতি বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে লিখতে
গেলেই সমাজের একটি অংশ থেকে প্রতিবাদ আসে।
আসে প্রগতি বিরোধী, প্রাচীনপন্থী,
ক্ষ্যাতসহ নানা খেতাব। গ্রাম
বাংলার আপামর জনতা যখন বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের বক্তব্যে দ্বিধান্বিত হয়ে সত্য জানতে
চান, তখন আর নিজেকে গুটিয়ে রাখা
সম্ভব হয় না। অপসংস্কৃতির বিপক্ষে কথা বলতে গেলে প্রাসঙ্গিকভাবেই এ বিষয়টি এসে পরে
যে, ইসলামে কি বিনোদনের কোনো সুযোগ নেই? ইসলাম ধর্মে বিনোদনের
ব্যাপারে কি রায়, সে বিষয়ে আলোচনার
পূর্বে সংস্কৃতি কাকে বলে এবং বিনোদন কি তা সুস্পষ্টভাবে অনুধাবন করা প্রয়োজন। তাহলে
ইসলামে সংস্কৃতি এবং বিনোদনের সর্ম্পকটিও সহজভাবে অনুধাবন করা সম্ভব হবে।
উপরোক্ত সংজ্ঞানুসারে
আমরা যদি সংস্কৃতি ও বিনোদনকে পাশাপাশি রেখে বিবেচনাচেনা করি তাহলে বিষয়টি এমন দাঁড়ায়
যে, ‘সাংস্কৃতকি বিনোদন’ । আর এটা হবে এমন কিছু মৌলিক র্কমকান্ড, যা কিছু সুন্দর ক্রিয়া-কলাপের মাধ্যমে মানুষের আত্মাকে
প্রশান্তি দয়িে তাকে সুসভ্য ও ভদ্র হতে সহযোগিতা করবে। ক্লান্তি আর অবসাদকে খুবই সাবলীলভাবে
ব্যক্তির অজান্তেেই দূরে সরিয়ে দিবে এবং শরীর
ও মন উভয়কইে এক অনাবিল, অর্পাথিব শান্তি এনে
দিবে।
আর যদি আমাদের এই ‘সাংস্কৃতকি বিনোদন’ এর সংজ্ঞায়
আত্ম উপলব্ধি ভুল না হয়ে থাকে এবং রূহ বা আত্মার মাধ্যমেই কেবল প্রকৃত প্রশান্তি আর
অনাবিল স্বস্তি র্অজন করা সম্ভব, আমরা নিশ্চিতভাবেই
বলতে পারি যে, সংস্কৃতি ও বিনোদনের
মূল উৎসই হচ্ছে ইসলাম। ইসলাম ধর্ম ছাড়া বা ইসলাম সর্মথিত পন্থা ও পদ্ধতি ছাড়া,
সংস্কৃতি ও বিনোদন বলতে এ
পৃথিবীতে আর কিছুই নেই। ইসলাম অসর্মথিত ও বিরুদ্ধে কোনো পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার র্কাযকলাপকেই
সংস্কৃতি কিংবা বিনোদন বলে প্রচার করার চেষ্টা হোক না কেন, প্রকৃতপক্ষে তা চূড়ান্ত র্পযায়ের অসভ্যতা,
অভদ্রতা আর অপসংস্কৃতির আখড়া
ছাড়া কিছুই নয়।
আরও পড়ুন:
No comments:
Post a Comment