بسم الله الرحمن الرحيم
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর; যার দয়া ও করুণা অপার। লক্ষ কোটি দরুদ ও সালাম সৃষ্টিকুলের মুক্তিরদূত রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা আহমদ মুজতবা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ওপর যিনি আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে আখেরী যমানার পয়গম্বর হিসেবে পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন। অতঃপর তাদের ওপর সালাম যারা যুগে যুগে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আত্ম-নিয়োগ করেছেন। আর কিয়ামত অবধি দীন ইসলামের প্রচার ও প্রসারে লিপ্ত থাকবেন। নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী:
আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও পৌছে দাও।[1]
এই হাদীসের অনুসরণে সেই রিসালাতের যুগ থেকে আজ অবধি আলেমগণ হাদীসের সংরক্ষন করে আসছেন কিতাবে বা স্মৃতিতে। আর বর্তমানে বিভিন্ন বাতিল ফেরকার কবল থেকে ঈমান , আকিদা রক্ষার্থে কোরআন ও হাদীসের সহীহ আমল করা আমাদের আবশ্যক। রাসুল (দ.) আরও ইরশাদ করেন:
أَفْضَلُ الْعِبَادَةِ الْفِقْهُ وَأَفْضَلُ الدِّينِ الْوَرَعُ
সর্বোত্তম ইবাদত হচ্ছে ফিকহ্ (দীনের গভীরতার জ্ঞান) অর্জন করা এবং দীনের মধ্যে সর্বোত্তম কাজ হচ্ছে পরহেযগারিতা।
হাদীস শরীফে আরও এসেছেঃ
إن بني إسرائيل افترقوا على إحدى و سبعين ملة و تفترق أمتي على ثلاث و سبعين ملة كلها في النار إلا ملة واحدة فقيل له : ما الواحدة ؟ قال : ما أنا عليه اليوم و أصحابي
বনী ঈসরাঈল সম্প্রদায় একাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল। আর আমার উম্মত তিহাত্তর দলে বিভক্ত হবে, সব দল জাহান্নামে যাবে, কিন্তু একটি দল জান্নাতে যাবে। তখন সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লাহর রাসুল ওই দলটি কোনটা হুজুর (সাঃ) বললেন,
আমি আর আমার সাহাবীগণ যার উপর আছি।
আমি আর আমার সাহাবীগণ যার উপর আছি।
