মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন:
مَا أَصَابَ مِنْ مُصِيبَةٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي أَنْفُسِكُمْ إِلَّا فِي كِتَابٍ مِنْ قَبْلِ أَنْ نَبْرَأَهَا إِنَّ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ
পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তােমাদের উপর যে বিপর্যয় আসে আমি উহা সংঘটিত করিবার পূর্বেই উহা লিপিবদ্ধ থাকে; এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।[১]
মহানবী (দ.) ইরশাদ করেন:
كَتَبَ اللَّهُ مقادير الْخَلَائق قبل أَن يخلق السَّمَوَات وَالْأَرْضَ بِخَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ
আল্লাহ সকল সৃষ্টির তাকদীর আসমান ও জমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে লিখে রেখেছেন।[২]
হাদীসে আরও এসেছে:
আল্লাহ তায়ালা তার সৃষ্টিকুলের মধ্যে প্রত্যেক বান্দার পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে চুড়ান্ত ফয়সালা করে রেখেছেন। তার মৃত্যুর তথা বয়স, তার কর্মকান্ড, তার থাকার স্থান বা মৃত্যুর স্থান, তার চলাফেরা এবং তার রিযিক।[3]
তাকদীর (تقدير) আরবী শব্দ। যার শাব্দিক অর্থ হলো - নিয়তি, ভাগ্য, অদৃষ্ট, নসিব।[৪] আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের জন্য যা কিছু নির্ধারণ করেছেন। মহান আল্লাহ কর্তৃক তাঁর সমগ্র সৃষ্টিকে তাঁর সীমারেখার সাথে সীমাবদ্ধ করা।
ইসলামি শরীয়তের পরিভাষায় বলা হয়: সৃষ্টির যাবতীয় বিষয় তথা ভালো-মন্দ, উপকার-অপকার ইত্যাদির স্থান, কাল এবং এ সবের শুভ ও অশুভ পরিণাম পূর্ব থেকেই নির্ধারিত থাকাই তাকদীর।
☆তাকদীরের প্রতি ঈমান:
হাদীস শরীফে এসেছে নবী করিম (দ.) ইরশাদ করেছেন:
لَا يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُؤْمِنَ بِأَرْبَعٍ: يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ بَعَثَنِي بِالْحَقِّ وَيُؤْمِنُ بِالْمَوْتِ وَالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَيُؤْمِنُ بِالْقَدَرِ.
এই চারটি বিষয়ে ঈমান না আনা পর্যন্ত কোন বান্দাই ঈমানদার হতে পারবে না। এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতিত কোন উপাস্য নাই এবং আমি আল্লাহর রাসুল; সত্য সহকারে তিনি আমাকে প্রেরণ করেছেন। মৃত্যুতে বিশ্বাস স্খাপন করা। মৃত্যুর পর পুনরুতত্থানে বিশ্বাস করা। তাকদীরের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা।[৫]
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা মতে: তাকদীরের প্রতি ঈমান আনার স্বরুপ হলো যে, জগতে ভালো মন্দ যা কিছুই ঘটবে সবই আল্লাহ তায়ালা আযাল বা অনাদিতেই জানেন এবং সে অনুপাতে সকলকিছু সৃষ্টির পূর্বেই লওহে মাহফুজে লিখে রেখেছেন। সবকিছুই তাঁর ইচ্ছাতেই হয়ে থাকে।[৬] এ বিশ্বাস রাখা যে, আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির দুটি শ্রেণী সৃষ্টি করেছেন; একটি দলকে তার অনুগ্রহের দ্বারা জান্নাতে দিবেন এবং অপরটিকে তাঁর ইনসাফের দ্বারা জাহান্নামে দিবেন।[৭]
العقيدة الطحاوية কিতাবে বলা হয়েছে:
তাকদীর হলো সৃষ্টিকুলের ব্যাপারে আল্লাহর একটি রহস্য; যা নৈকট্যপ্রাপ্ত কোনো ফেরেশতা কিংবা প্রেরিত কোনো নবীও অবহিত নন। এ সম্পর্কে তথ্য আবিস্কার করতে যাওয়া অথবা অনুরূপ আলোচনায় প্রবৃত্ত হওয়া আশাহত হওয়ার নিশ্চিত কারণ, বঞ্চনার সিঁড়ি এবং সীমালংঘনের ধাপ। অতএব সাবধান! এ সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা এবং কুমন্ত্রণা থেকে সতর্ক থাকুন। কারণ, আল্লাহ তাআলা ‘তাকদীর’ সম্পর্কিত জ্ঞান তাঁর সৃষ্টিকুল থেকে গোপন রেখেছেন এবং তাদেরকে এর উদ্দেশ্যে অনুসন্ধান করতে নিষেধ করেছেন। যেমন, আল্লাহ তা’আলা বলেন:
لا يسأل عما يفعل وهم يسألون
তিনি যা করেন সে বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হবে না, বরং তারা (তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে) জিজ্ঞাসিত হবে।[৮]
অতএব, যে ব্যক্তি একথা জিজ্ঞেস করবে “তিনি কেন এ কাজ করলেন?” সে আল্লাহর কিতাবের হুকুম অমান্য করল। আর যে ব্যক্তি কিতাবের হুকুম অমান্য করল, সে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হল। (তাকদীর বিষয়ে যা জানা ও যার উপর ঈমান আনার প্রয়োজন), উপরোক্ত আলোচনায় সংক্ষিপ্তভাবে তা বিধৃত হয়েছে। আল্লাহর ওয়ালী তথা বন্ধুদের মধ্যে যার অন্তর জ্যোতির্দীপ্ত, তার জন্য এতটুকু জানাই প্রয়োজন। আর এটিই হচ্ছে জ্ঞানে সুগভীর প্রজ্ঞা বিভূষিতদের স্তর। (যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত সংবাদকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করে নেয় এবং তার কাছে আত্মসমর্পন করে)[৯]
☆ভাগ্য ও বান্দার আমল:
যদি বলা হয় যে, তাকদীর যেহেতু সৃষ্টির পূর্ব থেকেই লিপিবদ্ধ হয়ে আছে এবং জান্নাতী ও জাহান্নামীদের উল্লেখ আছে; তবে আমল করে কি লাভ? এই প্রশ্নটা ভুল। কারণ, ভাগ্যের ভালো-মন্দ কিংবা জান্নাত-জাহান্নাম লেখা আছে সত্যি, কিন্তু আমরা কেউই জানিনা যে আমাদের ভাগ্যে কি আছে। সেই জন্য, আল্লাহ প্রদত্ত আমাদের জ্ঞান ও ক্ষমতার প্রয়োগ করে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত আন্তরিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে, যাতে করে আল্লাহ তাঁর অসীম দয়া দ্বারা আমাদেরকে সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত করেন। অর্থাৎ, আমাদের করণীয় হচ্ছে, আমাদের সাধ্য অনুযায়ী হারাম ও পাপাচার থেকে বিরত থেকে অধিক পরিমান নেক আমল করা। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁকে সন্তুষ্ট করা।
হাদীস শরীফে এসেছে:
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এক জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। এমন সময় তিনি কি একটি জিনিস হাতে নিয়ে তা দিয়ে মাটিতে রেখা অংকন করতে লাগলেন। তখন তিনি বললেন, “তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে, যার ঠিকানা জাহান্নামে অথবা জান্নাতে পূর্ব থেকেই লিপিবদ্ধ করা হয়নি।” একথা শুনে সাহাবীগণ বললেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ! তাহলে আমরা কি আমাদের ভাগ্যের লেখার উপর নির্ভর করে আমল করা থেকে বিরত থাকবো না?” নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তোমরা আমল করতে থাকো। কেননা যাকে যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার জন্য সেই কাজ সহজসাধ্য করে দেওয়া হবে।” তিনি আরো বললেন, “যে ব্যক্তি ভাগ্যবান ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে, তার জন্য সৌভাগ্যের কাজ সহজ করে দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি হতভাগ্য হবে, তার জন্য দুর্ভাগ্যের কাজ সহজ করে দেওয়া হবে।[১০] অতঃপর তিনি তাঁর এই কথার সমর্থনে আল্লাহ তাআ’লার এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন:
فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى وَصَدَّقَ بِالحُسْنَى
অতঃপর যে ব্যক্তি দান করে, তাকওয়া অবলম্বন করে এবং উত্তম বাণী (অর্থাৎ কালেমাকে) বিশ্বাস করে, তার জন্য আমি সৌভাগ্যের কাজ সহজ করে দেবো।[১১]
☆বান্দার কাজের স্রষ্টা কে?
মুতাযিলাদের আকিদা: যারা তাকদীরে অস্বীকার করে থাকে মুতাযিলাদের মধ্য হতে তাদেরকে কাদরিয়া বলা হয়। তাদের অভিমত হলো মানুষ কাজের স্রষ্টা। তার কাজে সে সম্পূর্ণ স্বাধীন, তাই তাদের মতে ভালেঅ ও মন্দের দায়িত্ব তার ওপরই বর্তাবে।
জাবরিয়াদের আকীদা: জাবরিয়াদের মতে মানুষের কাজের ওপর কোন হাত নেই। বরং সে আল্লাহর হাতে সম্পূর্ণ যন্ত্রের ন্যায় বাঁধা, নির্জীব কাঠের ন্যায়।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা: হক পন্থীদের মতে বান্দা পাথরের মতোও নয়। আবার কাজের জন্য বাধ্যও নয়। সে তার কাজের স্রষ্টাও নয়। বরং সকল কাজের স্রষ্টা হলেন মহান আল্লাহ তায়ালা। বান্দা এসব কর্মকান্ডের كاسب বা অর্জনকারী মাত্র।
উপরোক্ত ভ্রান্ত দুই দলের ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (দ.) বলেন:
صِنْفَانِ مِنْ أُمَّتِي لَيْسَ لَهُمَا فِي الْإِسْلَامِ نَصِيبٌ: الْمُرْجِئَةُ وَالْقَدَرِيَّةُ
আমার উম্মতের মধ্যে দু’দল লোক রয়েছে; যাদের জন্য ইসলামে কোন অংশ নেই। এরা হলো মুরজিয়া ও কাদরিয়া।[১২]
★দোয়ার দ্বারা কি ভাগ্য পরিবর্তন হয়?
রাসুলুল্লাহ (দ.) ইরশাদ করেন:
إِذَا سَمِعْتُمْ بِجَبَلٍ زَالَ عَن مَكَانَهُ فصدقوا وَإِذَا سَمِعْتُمْ بِرَجُلٍ تَغَيَّرَ عَنْ خُلُقِهِ فَلَا تصدقوا بِهِ وَإنَّهُ يَصِيرُ إِلَى مَا جُبِلَ عَلَيْهِ
যখন তোমরা শুনবে যে, কোনো পাহাড় তার নির্দিষ্ট স্থান হতে অন্যত্র সরে গেছে তবে তাতে বিশ্বাস করতে পার। কিন্তু যখন শুনতে পাবে যে, কোনো ব্যক্তি তার স্বভাব থেকে পরিবর্তিত হয়ে গেছে, তবে তাতে বিশ্বাস করবে না। কেননা, সে দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে যার ওপর তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে (যেহেতু তাকদীরের কোনরুপ পরিবর্তন হয় না)।[১৩]
হাদীসে আরও এসেছে:
لا يرد القضاء إلا الدعاء
দোয়ার দ্বারা ভাগ্য পরিবর্তন হয়।[১৪] সৃষ্টির পূর্বে মানুষের ভাগ্যে যা লেখা হয়েছে, তা কি দোয়ার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব?
উত্তরঃ সন্দেহ নাই যে, ভাগ্যের লিখন পরিবর্তনে দোয়ার প্রভাব রয়েছে। তবে জেনে রাখা দরকার, এই পরিবর্তনটাও পূর্বে থেকে লেখা আছে যে, দোয়ার মাধ্যমে অমুকের ভাগ্যের পরিবর্তন করা হবে। এই ধারণা যেন না হয় যে, আপনি ভাগ্যের কোন অলিখিত বস্ত পরিবর্তনের জন্যে দোয়ার করছেন। সুতরাং দোয়া করবেন, এটাও পূর্ব থেকে লেখা আছে। আর দোয়ার মাধ্যমে যা অর্জিত হবে, তাও লিখিত আছে। এই জন্যই আমরা দেখতে পাই যে, রোগীকে ঝাড়-ফুঁক করা হলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠে। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কোন একদিকে একদল সৈনিক প্রেরণ করলেন। সেখানে তাঁরা একটি কাফের গোত্রের নিকটে মেহমান হিসাবে উপস্থিত হলে গোত্রের লোকেরা মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। রাতের বেলা সেই গোত্রের নেতাকে বিষাক্ত সাপে দংশন করল। তাকে ঝাড়-ফুঁক করার জন্য কবিরাজ অনুসন্ধান করা হল। কিন্তু কোন কবিরাজ পাওয়া গেলনা। অবশেষে লোকেরা সাহাবীদের নিকট এসে কবিরাজ অন্বেষণ করল। একজন সাহাবী বললেন, আমি ঝাড়-ফুঁক করতে রাজি আছি, তবে আমাকে এরজন্যে বিনিময় দিতে হবে। তারা ঝাড়-ফুঁকের বিনিময়ে একশটি ছাগল দিতে রাজি হলে উক্ত সাহাবী রোগীকে সূরা ফাতিহা পড়ে ঝাড়-ফুঁক করলেন। ফলে রোগী এমনভাবে সুস্থ হয়ে উঠল, মনে হয় যেন রশির বাঁধন হতে মুক্ত করা হল।
☆তাকদীরের ব্যাপারে হুশিয়ারী:
তাকদীরের মাসআলা নিতান্তাই একটি স্পর্শকাতর বিষয়। যা আল্লাহর অপরাপর রহস্যের মতই একটি রহস্য। আর এই কারণেই এ বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা নিষেধ। তাই কোরআন ও হাদীসে এ বিষয়ে যতটুকু সারগর্ভ ধারনা দেওয়া হয়েছে, ততটুকুর উপরই ক্ষান্ত থেকে উহার প্রতি ঈমান আনা আমাদের কর্তব্য। কেননা, বিষয়টির পরিপূর্ণ ধারনা পাওয়া মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আর এ বিষয়ে যতই বুদ্ধি খাটানো হবে, ততই বিপদগ্রস্থ হওয়ার আশংকা রয়েছে।একদা একব্যক্তি হযরত আলী (রা.) কে তাকদীর সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি তার প্রত্যুত্তরে বলেন:
এটি একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তা, তুমি এ পথে চলো না। পুণরায় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন: এটি গভীর সমূদ্র তুমি এতে ডুব দিওনা। আবার প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন: এটা আল্লাহর একটি গোপন রহস্য ভান্ডার, তুমি তা উন্মুক্ত করতে যেওনা।[১৫]
হাদীস শরীফে এসেছে:
مَنْ تَكَلَّمَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْقَدَرِ سُئِلَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ لم يسْأَل عَنهُ .
যে ব্যক্তি তাকদীর সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়, কিয়ামতের দিন তাকে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। আর যে ব্যক্তি সে সম্পর্কে নীরব থাকবে, তাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে না।[১৬]
তাকদীর অস্বীকারকারীদের সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (দ.) বলেন:
আমার উম্মতের মধ্যে খাসফ তথা ভুমি ধ্বস এবং মাসখ তথা আকৃতি পরিবর্তনের শাস্তি দেওয়া হবে; যারা তাকদীরকে অস্বীকার করে।[১৭]
তিনি আরও ইরশাদ করেন:
سِتَّةٌ لَعَنْتُهُمْ وَلَعَنَهُمُ اللَّهُ وَكُلُّ نَبِيٍّ يُجَابُ: الزَّائِدُ فِي كِتَابِ اللَّهِ وَالْمُكَذِّبُ بِقَدَرِ اللَّهِ
ছয় ব্যক্তি এমন রয়েছে যাদের প্রতি আমি অভিসম্পাত করি এবং আল্লাহ তায়ালাও তাদের প্রতি অভিসম্পাত বর্ষণ করেন। আর প্রত্যেক নবীর দোয়াই কবুল হয়ে থাকে। (সে ছয় ব্যক্তি হচ্ছে) ১. যে আল্লাহর কিতাবে অতিরিক্ত কিছু সংযোগ করে। ২. আল্লাহর তাকদীরকে অস্বীকারকারী।[১৮]
আরোও পড়ুন :
ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপনের দলীল।
আরোও পড়ুন :
ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপনের দলীল।
[১] সুরা আল্ হাদীদ : ২২।
[২]ইমাম মুসলিম, আবুল হাসান মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ আল কুশাইরী র. ওফাত:২৬১ হিঃ الصحيح ( দারু ইহইয়ায়িত তুরাছিল আরাবি; বৈরুত, ) ৪র্থ খন্ড/ হাদীস নং ২৬৫৩।
[৩]মিশকাতুল মাাসাবিহ, হাদীস নং ১১৩।
[৪]ড. মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, আল মু’জামুল ওয়াফি, ( রিয়াদ প্রকাশনী; ঢাকা )
[৫]سنن ابن ماجه ,আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইয়াযিদ র., ওফাত:২৭৩ হিঃ , )দারুল ফিকর;বইরুত,( হাদীস নং- ৮১।
[৬]আবূল হাসান নুরুদ্দিন, আলী ইবনে মুহাম্মদ আল মোল্লা আল ক্বারী র., ওফাতঃ১০১৪হিঃ, مرقاة المفاتيح ( দারুল ফিকর;বইরুত;লেবানন, ১ম সংস্করণঃ ১৪২২ হিঃ ) ১ম খন্ড/ ১৪৭ পৃষ্ঠা।
[৭]আাবুল আলা, মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুর রহিম মুবারকপুরী র., ওফাত:১৩৫৩ হিঃ, تحفة الأحوذي (দারুল কুতুবিল ইলমিয়া; বইরুত), ৬ষ্ঠ খন্ড/ ২৭৯ পৃ:।
[৮] সুরা আল আম্বয়িা : ২৩।
[৯] ইমাম আবু জাফর ত্বাহাবী র, ওফাত: ৩২১ হিঃ, العقيدة الطحاوية পৃ: ৩২।
[১০] আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ঈসমাইল আল্ বুখারী র., ওফাত:২৫৬ হিঃ, صحيح البخاري, (দারু ইবনে কাছির; বইরুত, তৃতীয় সংস্করণ: ১৪০৭ হিঃ,) ২য় খন্ড/হাদীস নং ১৩৬২।
[১১] সুরা লাইল : ৫-৬।
[১২] ইমাম আবু ঈসা, মুহাম্মদ ইবনে ঈসা তিরমিজী র. الجامع الصحيح ৪র্থ খন্ড হাদীস নং ২১৪৯।
[১৩] মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ২৭৪৯৯।
[১৪] ইমাম আবু ঈসা, মুহাম্মদ ইবনে ঈসা তিরমিজী র. الجامع الصحيح ৪র্থ খন্ড হাদীস নং ২১৩৯।
[১৫] আাবুল আলা, মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুর রহিম মুবারকপুরী র., ওফাত:১৩৫৩ হিঃ, تحفة الأحوذي (দারুল কুতুবিল ইলমিয়া; বইরুত), ৬ষ্ঠ খন্ড/ ২৭৯ পৃ:।
[১৬] سنن ابن ماجه ,আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইয়াযিদ র., ওফাত:২৭৩ হিঃ , )দারুল ফিকর;বইরুত,( হাদীস নং- ৮৪।
[১৭] ইমাম আবু ঈসা, মুহাম্মদ ইবনে ঈসা তিরমিজী র. الجامع الصحيح ৪র্থ খন্ড হাদীস নং ২১৫৩।
[১৮] প্রাগুক্ত, হাদীস নং ২১৫৪।
No comments:
Post a Comment