প্রশ্ন করা হয়ে থাকে যে, ১২ ই রবিউল আউয়াল তথা এ মাস হলো আল্লাহর রাসুল (দ.) এর জন্মের মাস এবং ওফাতের মাসও। তো মিলাদুন্নবী তথা খুশি প্রকাশের সাথে সাথে শোক কেন প্রকাশ করা হয় না?
জবাব - এই প্রশ্নের জবাবে ইমাম হাফেজ জালালুদ্দিন সুয়ুতী (র.) الحاوى للفتاوى (১ম খন্ড/ পৃঃ২২৬) কিতাবে বলেন :
'নিশ্চয়ই নবী করিম (দ.) এর জন্ম বা মিলাদ আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত এবং তাঁর ওফাত আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় মুসিবত। আর ইসলামী শরীয়ত নেয়ামত লাভের জন্য শুকরিয়া আদায়ের প্রতি বেশী গুরুত্ব দিয়েছে এবং বিপদে ধৈর্যধারণ, স্থির থাকা ও তা গোপন রাখার প্রতি উৎসাহ দিয়েছে। শরীয়ত নবজাত শিশুর জন্য খুশি ও শুকরের নিমিত্তে আকীকা করার নির্দেশ দিয়েছে, কিন্তু; মৃতের জন্য পশু যবেহ করার নির্দেশ দেয়নি। বরং মৃতের জন্য বিলাপ ও দুঃখ প্রকাশ করতে নিষেধ করেছে। সুতরাং ইসলামী শরীয়তের বিধান এ মর্মে দালালত করে যে, রাসুলুল্লাহ (দ.) এর মিলাদ উপলক্ষ্যে এ মাসে আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করা উত্তম, ওফাতের জন্য দুঃখ প্রকাশ নয়।'
☆আল্লামা ইবনে রযব হাম্বলী (র.) বলেন : 'নবী (দ.) এর ভালোবাসা হলো ঈমানের অংশ এবং আল্লাহর ভালোবাসার সংযোগ। আল্লাহ এর দ্বারা রহমত বর্ষন করেন এবং যারা আল্লাহ ও তার রাসুলে ভালোবাসার ওপর আত্মীয় স্বজন, ধন-সম্পদ, দেশসহ অন্যান জিনিসের ভালোবাসা প্রাধান্য দিবে আল্লাহর তাদেরকে কঠোর শাস্তি দিবেন।' মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন : –বলুন, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর- আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত| আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না|
একবার হযরত ওমর (রা.) রাসুল (দ.) কে বললেন : হে আল্লাহর রাসুল, নিশ্চয়ই আপনি আমার কাছে আমার নিজ সত্তা ছাড়া পৃথিবীর সব কিছুর চেয়ে বেশি প্রিয়।' তখন রাসুল (সা.) বললেন, ıকোনো ব্যক্তির কাছে যতক্ষণ আমি তার নিজ সত্তা অপেক্ষা বেশি প্রিয় না হব, ততক্ষণ পর্যন্ত সে মুমিন হতে পারবে না।IJ অতঃপর ওমর বললেন, 'আল্লাহর কসম! এখন আপনি আমার কাছে নিজ সত্তা অপেক্ষা বেশি প্রিয়।' তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ıহে ওমর, এখন তুমি (মুমিন হলে)|
সুতরাং আল্লাহর রাসুল (দ.) এর প্রতি ভালোবাসাকে আবশ্যকীয়ভাবে ব্যক্তিসত্ত্বা, আত্মীয়-স্বজন, সন্তান - সন্তুতি, পরিবার - পরিজন, ধন - সম্পদসহ আরো যাবতীয় জিনিস যেগুলো ভালোবাসার যোগ্য তার ওপর প্রাধান্য দিতে হবে। অতএব, মিলাদুন্নবী উদযাপন করা তাঁর প্রতি ভালোবাসারই প্রকাশ। মিলাদুন্নবীর আনুষ্ঠানিকতা মূলত তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। আর তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ধর্মীয়ভাবেই আবশ্যকী বিষয়। কেননা, এটাই মূল স্তম্ভ এবং উত্তম অবলম্বন। আল্লাহ তায়ালা তার নবীর মর্যাদা জানতেন এবং সমগ্র বিশ^কে তা জানিয়েছেন; তাঁর নাম, আগমণ, মর্যাদা এবং স্থানের মাধ্যমে। বিশ^জাহান সীমাহীন আনন্দে ও পরম আবেসে দুলছিল; নবী করিম (দ.) ছিলেন বিশে^র জন্য খুশি, নেয়ামত ও আল্লাহর হুজ্জত।
☆কবি আহমদ শাওক্কী বলেন :
আরও পড়ুন:
ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপনের দলীল।
☆আল্লামা ইবনে রযব হাম্বলী (র.) বলেন : 'নবী (দ.) এর ভালোবাসা হলো ঈমানের অংশ এবং আল্লাহর ভালোবাসার সংযোগ। আল্লাহ এর দ্বারা রহমত বর্ষন করেন এবং যারা আল্লাহ ও তার রাসুলে ভালোবাসার ওপর আত্মীয় স্বজন, ধন-সম্পদ, দেশসহ অন্যান জিনিসের ভালোবাসা প্রাধান্য দিবে আল্লাহর তাদেরকে কঠোর শাস্তি দিবেন।' মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন : –বলুন, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর- আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত| আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না|
একবার হযরত ওমর (রা.) রাসুল (দ.) কে বললেন : হে আল্লাহর রাসুল, নিশ্চয়ই আপনি আমার কাছে আমার নিজ সত্তা ছাড়া পৃথিবীর সব কিছুর চেয়ে বেশি প্রিয়।' তখন রাসুল (সা.) বললেন, ıকোনো ব্যক্তির কাছে যতক্ষণ আমি তার নিজ সত্তা অপেক্ষা বেশি প্রিয় না হব, ততক্ষণ পর্যন্ত সে মুমিন হতে পারবে না।IJ অতঃপর ওমর বললেন, 'আল্লাহর কসম! এখন আপনি আমার কাছে নিজ সত্তা অপেক্ষা বেশি প্রিয়।' তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ıহে ওমর, এখন তুমি (মুমিন হলে)|
সুতরাং আল্লাহর রাসুল (দ.) এর প্রতি ভালোবাসাকে আবশ্যকীয়ভাবে ব্যক্তিসত্ত্বা, আত্মীয়-স্বজন, সন্তান - সন্তুতি, পরিবার - পরিজন, ধন - সম্পদসহ আরো যাবতীয় জিনিস যেগুলো ভালোবাসার যোগ্য তার ওপর প্রাধান্য দিতে হবে। অতএব, মিলাদুন্নবী উদযাপন করা তাঁর প্রতি ভালোবাসারই প্রকাশ। মিলাদুন্নবীর আনুষ্ঠানিকতা মূলত তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। আর তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ধর্মীয়ভাবেই আবশ্যকী বিষয়। কেননা, এটাই মূল স্তম্ভ এবং উত্তম অবলম্বন। আল্লাহ তায়ালা তার নবীর মর্যাদা জানতেন এবং সমগ্র বিশ^কে তা জানিয়েছেন; তাঁর নাম, আগমণ, মর্যাদা এবং স্থানের মাধ্যমে। বিশ^জাহান সীমাহীন আনন্দে ও পরম আবেসে দুলছিল; নবী করিম (দ.) ছিলেন বিশে^র জন্য খুশি, নেয়ামত ও আল্লাহর হুজ্জত।
☆কবি আহমদ শাওক্কী বলেন :
"হেদায়াতের কান্ডারী নবীর জন্মে হল আলোকিত কায়েনাত : যুগ-যুগান্ত মুচকি হাসিয়া গাইল প্রশংসা গীত।
জিব্রিল আর বড় যত আছে ফেরেশতাকুল আসে তাঁর পাশে : দীন আর দুনিয়ার লাগি এল মহা শুভার্থী ।"
ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপনের দলীল।
No comments:
Post a Comment